সালাতুল হাজত করার নিয়ম (সহজভাবে)
সালাতুল হাজত করার নিয়ম (সহজভাবে)
সালাতুল হাজত করার নিয়ম (সহজভাবে)
১. নিয়ত
মনে মনে বা মুখে বলা যায়: "আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হাজতের নামাজ আদায় করছি"।
২. রাকাত
➡ ২ রাকাত নফল নামাজ
(কিছু আলেম ৪ রাকাতও বলেছেন, তবে সর্বাধিক প্রচলিত ২ রাকাত)
৩. সময়
যেকোনো বৈধ সময়ে পড়া যায়।
মাকরুহ সময়ে নয়, যেমন:
সূর্যোদয়ের সময়
সূর্য ঢলে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্ত
সূর্যাস্তের সময়
৪. নামাজ শেষে দোয়া
প্রথমে অলহামদুলিল্লাহ, দরুদ শরিফ পাঠ করবেন।
এরপর সত্যিকার অন্তর দিয়ে নিজের প্রয়োজন আল্লাহর কাছে চাইবেন।
---
📖 সালাতুল হাজতের জন্য সুন্নাহর দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) সহীহ হাদিসে একটি দোয়া শিখিয়েছেন:
হাদিসের দোয়া (তাশাহহুদের পর বা নামাজ শেষে পড়া যায়):
> "লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারীম, সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা, ওয়া আজাইমা মাগফিরাতিকা, ওয়াল-গনীমাতা মিন কুল্লি বিরর, ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইসম। লা তাদাআলি জানবাম ইল্লা গাফারতাহু, ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাযতাহু, ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান ইল্লা ক্বাযাইতাহা, ইয়া আরহামার রাহিমীন।"
(তিরমিজি, হাদিস ৪৭৯)
---
🌙 হাদিসে এর ফজিলত
⭐ ফজিলত–১: দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ আমল
হাদিসে আসে,
যে ব্যক্তি কোনো জরুরি প্রয়োজন নিয়ে আল্লাহর কাছে চায়, সে যেন দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করে।
(তিরমিজি ৪৭৯)
⭐ ফজিলত–২: যেকোনো প্রয়োজন আল্লাহ পূর্ণ করে দেন
হাদিসে বলা হয়েছে—
যে আন্তরিকভাবে হাজতের নামাজ পড়ে দোয়া করবে, আল্লাহ তার জরুরি প্রয়োজন পূরণ করবেন, যদি তা তার জন্য কল্যাণকর হয়।
(মুস্তাদরাক হাকিম)
⭐ ফজিলত–৩: গুনাহ মাফ ও দুশ্চিন্তা দূর হয়
দোয়ার অংশে রাসুল (সা.) শিখিয়েছেন:
আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন
দুশ্চিন্তা দূর করেন
বিপদ থেকে মুক্তি দেন
উপকারের দরজা খুলে দেন
Comments
Post a Comment